চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রবাসী ইউসুফের মা হামিদুন্নেসা ও ছেলে আরাফাত হোসেনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক আসামি আলমকে আটক করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার দুপুরে আলমকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত আলমের জামিন না–মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহমান।
আসামি আলম উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার গ্রামের ছাড়া বাড়ির আব্দুল হামিদের ছেলে। এর আগে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব-১১।
গত ২৭ মে সোমবার দিবাগত রাতে ওই গ্রামের বকাউল বাড়ির নিজ ঘরে হত্যার শিকার হন হামিদুন্নেসা ও আরাফাত হোসেন। এ ঘটনার পর থেকে আলম পলাতক ছিলেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আলমকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন না–মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলম মুখ খোলেনি। এজন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে এবং রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ২৭ মে দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে নিজ ঘরে প্রবাসীর মা হামিদুন্নেসা, ছেলে আরাফাত ও মেয়ে হালিমা আক্তার মিমকে (১৫) কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেসা ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরাফাত হোসেন মারা যান এবং গুরুতর আহত হালিমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।