চাঁদপুরের পুরাণবাজরে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় প্যানেল মেয়রসহ বিবাদী ৩৭৮

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একটি মামলার বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস সরকার। অন্যটির বাদী নিহত আল-আমিনের বাবা মজিদ খান ডেঙ্গু।

তার মধ্যে একটি মামলায় চাঁদপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি এবং তার দুই ছেলে সজিব মাঝি ও রাকিব মাঝিকে বিবাদী করা হয়েছে । নিহত ও আহতের ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় আসামীর সংখ্যা ৩৭৮জন। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ জন।তারা সবাই জেলহাজতে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মুহসীন আলম।

গ্রেপ্তার ৫ আসামীরা হলেন-শহরের পুরান বাজারের সঞ্জয় বর্মণ (১৯), জাকির হোসেন (২৮), বাবুল বেপারী (৪৪), ইয়াছিন মহব্বত (২৫) ও রিপন ইসলাম (২৮)।

থানা পুলিশ জানায়, অটোচালক আল-আমিন হত্যার ঘটনায় তার পিতা মজিদ খান ডেঙ্গু ১২ জুন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী নিতাইগঞ্জ রোডের বাসিন্দা সজিব মাঝি, দুই নম্বর আসামী তার পিতা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি ও তিন নম্বর আসামী তার বড় ভাই রাকিব মাঝি। এই মামলায় ২৮জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ১৫০জনকে।

এছাড়া একইদিন সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি কর্মচারীর ওপর আক্রমনের ঘটনায় ২০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় অপর মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস সরকার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মুহসীন আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পুরাণ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব শর্মা।

গত ১১ জুন মঙ্গলবার দিনগত রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহরের পুরাণ বাজার পলাশের মোড় মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আল-আমিন খান (৩০) নামে অটোরিকশা চারক নিহত হয়। আহত হয় কমপেক্ষ ২০জন। এই ঘটনায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Related posts

Leave a Comment