১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে টিকটকারের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর এলাকা থেকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৩) পরকীয়া প্রেমিক টিকটকার রাজিব সিকদার ওরফে ইমন (২৭)-এর সাথে পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযাগ করেছেন প্রবাসী স্বামী মাছুম রাব্বানী। এই অভিযাগ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয় চর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাছুম রাব্বানীর সাথে একই উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মরিয়ম বেগমের। তাদের উভয়ের কোল আলাকিত করে আসে পুত্র মেহরাব হাসান মাহিম (৫)। স্ত্রী মরিয়ম বেগমের মন রক্ষার্থে তাকে বাবার বাড়িতে বসবাসর সম্মতি দেয় মাছুম রাব্বানি। এ সুযোগ কাজ লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে স্ত্রী মরিয়ম বেগম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যম জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কাজে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাছুম রাব্বানী দেশে আসলে তাকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করাতো স্ত্রী মরিয়ম বেগম। স্বামীকে পাশে ঘুমে রেখে রাত যোগাযোগ রাখতো পরকীয়া প্রমিক রাজিব সিকদার ওরফে ইমনের সাথে।

মরিয়ম বেগম কৌশলে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্যে ২১ আগস্ট ২০২৪ (বুধবার) চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমবায় সমিতি থেকে স্বামী মাছুম রাব্বানী ও ভাবী তাছলিমা বেগমকে জামিনদার করে ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। সেই ৪ লক্ষ টাকা ও ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ ৬ লক্ষ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১ হাজার ৪শ’ সৌদি রিয়েল ও সাথে থাকা মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পরকীয়া প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরফে ইমনের সাথে পালিয়ে যান। এমনকি ৫ আগস্ট ২০২৪ ফরিদগঞ্জ থেকে সুদরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকার বাংলাবাজারে পরকীয়া প্রেমিকের ঠিকানায় ৫ বস্তা মালামাল প্রেরণ করেন।

মাছুম রাব্বানী বলেন, আমার স্ত্রীকে আমি কোনো দিক দিয়ে অভাবে রাখিনি। জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসে ছিলাম, এটাই কি আমার অপরাধ? বাড়িতে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে ( মরিয়ম বেগম) জানায়, আমার সাথে সংসার করবে না। আমি যেন তাকে খোঁজার চেষ্টা না করি। তার পরকীয়া প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরফে ইমন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজলার গারুড়িয়া নামক জায়গা আছে, সেখানে গেলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। উপায় না পেয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযাগ করেছি।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার বলন, এ সময়ে আমাদের ফোর্স নিয়ে বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। আপনারা কোর্টে একটা মামলা করে দেন, কোর্ট থেকে অর্ডার দিলে আমরা উদ্ধার করে দিবো।

Related posts

Leave a Comment